বাঁকুড়ায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি জমা করে চলছে কারবার রমরমিয়ে : অভিযোগ সিপিএম এর

20th June 2020 3:46 pm বাঁকুড়া
বাঁকুড়ায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি জমা করে চলছে কারবার রমরমিয়ে : অভিযোগ সিপিএম এর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনাময় পরিস্থিতিতে দেশ ও রাজ্য যখন চরম আর্থিক অনটনে সাধারণ মানুষের কাছে যখন আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন ঠিক সেই সময়ই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি মাফিয়ারা রমরমিয়ে  বালি কারবার চালাচ্ছে। নদীর বুক চিরে জেসিপি দিয়ে বালি উত্তোলন করে সেই বালি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জড়ো করে রাখা হচ্ছে চড়া দামে বিক্রি করার আশায় । বাঁকুড়া জেলার দ্বারকেশ্বর এবং দামোদর নদের সব জায়গায় চলছে বালির জালিয়াতি। সরকার থেকে বালি জড়ো করার জন্য অনুমতি নিতে হয় । হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন এই অনুমতি নিয়ে বালি স্ট‍্যাগ করলেও বাকিরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আইন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে বালির রমরমা কারবার।  যারা  একটিমাত্র বালির জড়োর অনুমতি পেয়েছে  সে জায়গায় তারা  চার পাঁচটি জায়গায়  বালির  স্ট‍্যাগ করে রাখছে । কোতুলপুর ইন্দাস জয়পুর ছাড়াও অধিকাংশ জায়গাতেই চলছে বালি রমরমা কারবার আমাদের অন্তর তদন্তে উঠে আসছে কোন একটি অদৃশ্য শক্তি তার কালো হাতের  বলে বলিয়ান হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই বালি কারবার ।  সিপিআইএম নেতা  তাপস চক্রবর্তী জানান  প্রশাসন থেকে  একশ্রেণীর রাজনৈতিক দল কারবারের সাথে যুক্ত আছেন উপর থেকে নিচ পর্যন্ত করাপশন এ ভরে গেছে বালি লুট হচ্ছে সরকারি গাছ লুট হচ্ছে সরকারি টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে কাঠ মানি নেওয়া হচ্ছে। দারকেশ্বরের বুক চিরে বালি নেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ আস্ত গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট খারাপ হচ্ছে দুর্ঘটনা হচ্ছে নিত্যনৈমিত্তিক। যেন লুঠের স্বর্গরাজ্যে বাস করছেন একশ্রেণীর মানুষ। তারা নেতা ছাতা প্রশাসনের মদতপুষ্ট হোয়াই কেউ কিছুই করতে পারছে না। কবে যে সুরাহা হবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে সাধারণ মানুষ ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।